প্রিয় গ্রাহক,আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।গ্রাহক, এটাকে দাঁড়ি পাকা বলা যাবে না। এখানে হেয়ার ফলিকলের মেলানোসাইট এর মেলানিন নামক রঞ্জক পদার্থ কমে যাওয়ার কারনে এরকম রং হতে পারে। এজন্য একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিলে আশা করি ভাল একটা সমাধান পাবেন। আমাদের দেশে এখন অনেক কম বয়সী নারী-পুরুষেরই সমস্যা দেখা যাচ্ছে। অল্প বয়সে চুল/ দাড়ি পাকার জন্য কিছু জিনিসতো অবশ্যই দায়ী।এসবের মধ্যে -ঘুম কম হওয়া-নিম্ন মানের হেয়ার প্রোডাক্ট ব্যবহার করা, অত্যাধিক পরিমাণে চুলে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার-চুলের নিয়মিত যত্ন না নেয়া-তেলে ভাজাপোড়াসহ ফাস্টফুড জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া, অতিরিক্ত চা কিংবা কফি খাওয়া-পুষ্টিকর খাবারের অভাব-বংশগত বা হরমোনের কারণে-অতিরিক্ত চিন্তা, চুল অতিরিক্ত ড্রাই করা, পানি দূষিত হওয়া,-জেনেটিক বা হরমোনের সমস্যাজীবনযাপনের নানা সমস্যা ইত্যাদির যে কোন প্রকার কারণেই থাকে। উক্ত বিষয় গুলোর প্রতি যত্নবান হলে সমস্যা অনেককাংশে কমে যায়,। সঠিক কোন প্রতিষেধন নাই তবে কিছু টিপস অনুসরণ করলে সাময়িক ভাবে লাগব হবে। যেমন :- 1)প্রতিদিন ৪ চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে আড়াই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে উক্ত মিশ্রণ চুল/দাঁড়ির গোড়ায় এবং লাগান। দুই সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল/দাঁড়ি পরিবর্তন হয়ে উঠবে।2)পেঁয়াজ ভালোমত বেটে নিয়ে প্রতিদিন কিছুক্ষণ চুল/দাঁডিতে ম্যাসাজ করলে এবং চুলে পেঁয়াজ বাটা শুকিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কালো উঠব্। তবে দ্রুত ফল পাওয়ার জন্য অবশ্যই প্রতিদিন একবার করে এই উপায় অনুসরণ করতে হবে।সাধারণত পুষ্টিহীনতা, টেনশন, অবসাদ, ঘুম কম হওয়া এগুলোর কারণে অল্প বয়সে চুল/দাঁড়ি পাকতে পারে। তাই এই সমস্যা প্রতিরোধের জন্য প্রচুর পুষ্টিকর শাকসবজি খাবেন, পর্যাপ্ত ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। অবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন সি ই এবং ভিটামিন বি কমপ্রেক্স খেতে পারেন।আশা করি আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি।আর কোন প্রশ্ন থাকলে, মায়া আপাকে জানাবেন,রয়েছে পাশে সবসময়,মায়া আপা ।
প্রশ্ন করুন আপনিও