প্রিয় গ্রাহক, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।আপনাকে অভিনন্দন আপনি মা হতে চলেছেন।অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। সন্তান পেটে আসার পর কোষ্ঠকাঠিন্যের যন্ত্রণা বিষিয়ে দেয় জীবন।এমতাবস্থায় অনেকে ঝুঁকির মধ্যেও পড়েন। পায়ুপথের পাশাপাশি পেটে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। মল ঠিকমতো বের না হওয়ায় সারাক্ষণ অস্বস্তি কাজ করে।একটু সতর্ক থাকলে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি থেকে বাঁচা যায়। ঘরোয়া উপায়েও গর্ভকালীন এ সমস্যা থেকে প্রতিকার পাওয়া যায়। তবে খুব সমস্যা বোধ করলে একজন গাইনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারীদের দুধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। অনেকে দুধ খেতে পারেন না। তাদের দুগ্ধজাতীয় খাবার যেমন-পায়েশ, দধি খেতে বলেন ডাক্তাররা। দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে থাকে।যা করা উচিতঃ১। আঁশযুক্ত খাবারশাকসবজি, ফলমূল কোষ্ঠকাঠিন্যের শত্রু। আঁশযুক্ত খাবার খেলে মল বাড়ে। কোষ্ঠকাঠিন্যও দূর হয়। চিকিৎসকরা বলেন, গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য কমানোর প্রথম ধাপ হল বেশি করে আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া।লালশাক-পালংশাক, লাউশাক, গাজর, আলু, আঙুর, আপেল, কমলা, বেদানা, কলা-এসব খাবার খেলে গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে না। তবে পেঁপে খাওয়া যাবে না।২। হালকা ব্যায়ামযারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন, তাদের কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস, ফিস্টুলা হয় না। অন্তঃসত্ত্বাদেরও কিছু হালকা ব্যায়াম আছে। এগুলো অনুসরণ করলে এ সমস্যা কেটে যাবে।৩।দানাদার খাবারবাদামসহ বিচিজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে আঁশ পাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খাদ্যতালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে পারেন। দানাদার খাবার খাওয়ার পরামর্শ চিকিৎসকরাও দিয়ে থাকেন। এটি সন্তানের পুষ্টি জোগায়।৪। তরল খাবারকোষ্ঠকাঠিন্যের সময় প্রচুর পরিমাণে পানি ও শরবত পান করুন। এটি পায়খানা নরম করতে সাহায্য করে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে কিছু দিনের মধ্যেই আপনি ভালো ফল পাবেন।৫। ইসবগুলকোষ্ঠকাঠিন্যের সঙ্গে ইসবগুলোর সম্পর্ক সাপে নেউলে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় যারা এ সমস্যায় ভোগেন, তারা কোনো ধরনের ভাবনা-চিন্তা ছাড়াই ইসবগুল খেতে পারেন।খুব সমস্যা বোধ করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।আশা করি আপনাকে সাহায্য করতে পেরেছি। আপনার আর কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদের জানাবেন।পাশে আছি সবসময়, মায়া।
প্রশ্ন করুন আপনিও